অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলছে আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়েছে। হুট করেই যে আমরা একটা বিপ্লবী বাজেট দিয়ে দেব, সেটা তো সম্ভব না।
নাহিদ বলেন, বেকারদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা ছিল বাজেটে এই ধরনের নীতি গ্রহণ করা হয়নি।
রাজস্বখাতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সৃষ্ট অসন্তোষ দ্রুত সমাধান করা না গেলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কার কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদরা।
কিন্তু উদ্দেশ্যের সঙ্গে বাস্তবে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি।
মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সংকট, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও বৈষম্য- এই বড় চ্যালেঞ্জগুলো তিনি চিহ্নিত করেছেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক সরকার। পার্লামেন্ট না থাকায় বাজেটে চমক দেখানো তাদের জন্য কঠিন হবে।
সামষ্টিক অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে, কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ চাঙ্গা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে বেগবান করতে এই বাজেট সক্ষম হবে কি না, এটাই বিচার্য বিষয়।
প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনী চাপ থেকে মুক্ত হলেও, কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা থাকায় বড় ধরনের সংস্কার সম্ভব হয়নি।
সাধারণ মানুষ এমন বাজেট চায়, যা ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য। বেসরকারি খাতে ঋণ সংকুচিত হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের অংশ হিসেবে ব্যাপক হারে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের ওপর করারোপ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাতের জন্য কোনো স্বস্তির বার্তা নেই।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ব্যবসাবান্ধব ও ভবিষ্যতমুখী’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি, এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক যৌক্তিকীকরণে কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়বে বলে মনে করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে প্রস্তাবিত বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয় বলে মনে করছেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে কালো টাকা সাদা করার দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ বাতিল করার জোর দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে সাজসজ্জা ও রূপচর্চার জন্য পণ্য কিনতে ক্রেতাদের আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজেট প্রস্তাবে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধির সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগায়নি এনবিআর।
এ তহবিলে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রত্যেক বছর বাজেট ঘোষণার সময় আলোচনার দিক থেকে তুঙ্গে থাকে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এছাড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাজেটে যেসব শুল্ক-কর প্রস্তাব করা হয়, তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। ফলে শুল্ককর বাড়লে দাম বেড়ে যেতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে চিনি-সয়াবিন তেলের দামের পাশাপাশি মসলার দামও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের জন্য দুই হাজার ২৭ কোটি ৯০০ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সব ধরনের আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন অপশাসনের মাধ্যমে এ খাতকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তহবিল, এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন প্রক্রিয়াকরণের সব কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বলপয়েন্ট কলমের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
অনলাইনে পণ্য বিক্রয় কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা স্মৃতি সংরক্ষণ, গবেষণায় কাজ করবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও যা এবার মাত্র ১০০ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫০১ কোটি টাকা বেশি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক-ভ্যাট পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে, যার ফলে বাজারে অনেক পণ্যের দাম বাড়তে বা কমতে পারে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট বাড়ানোর এই নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বাজেটে ভ্যাট বাড়ানোর এই নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায় ৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ।
সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর এই নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে।
রেফ্রিজারেটরের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
প্রেসার কুকারে এ পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকাতে দামও সহনীয় ছিল। তবে এবারের বাজেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার যেসব কাজে অর্থ ব্যয় করবে এবং যেসব উৎস থেকে আয় বা প্রাপ্তি ঘটবে, তার কর্মপরিকল্পনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এবার আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গম, চাল, সয়াবিন, মশুর ডাল সহ অনেক কিছু আমদানি করেছি।
আগে যাঁরা ৫ শতাংশ হারে কর দিতেন, তাঁদের আগামী অর্থবছর থেকে ১০ শতাংশ দিতে হবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের করের বোঝা বাড়বে।
দেশের বাজেট যেমন একটি সুসংহত আর্থিক পরিকল্পনা, তেমনি প্রতিটি ব্যক্তির জীবনেও একটি নিজস্ব, সুচিন্তিত বাজেট থাকা অত্যন্ত জরুরি।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় কমছে।
নতুন বাজেটে সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হতে পারে।
জাতীয় অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত বাজেট প্রস্তাবনা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন পায়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট হবে দেশের ৫৪তম এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
আর্থিক সংকট বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার বাজেটের আকার কমিয়ে ধরা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে আনা হয়েছে।